RBI Digital Currency 2023
সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া RBI Digital Currency এর বিষয় নিয়ে বড় ঘোষণা করল। কিছুদিন পূর্বেই আরবিআই ঘোষণা করেছিল ২০২৩ এর ২৩ শে মে থেকে ৩০ শে সেপ্টেম্বর এর মধ্যে নিকটবর্তী ব্যাংকগুলিতে জমা দিয়ে দিতে হবে ২০০০ টাকার নোট। চলতি বছর ত্রিশে সেপ্টেম্বরের পরে আর চলবে না সারা দেশে দু হাজার টাকার নোট। আর বি আই বা রিজার্ভ ব্যাংকের এই ঘোষণায় সম্প্রতি বিপাকে পড়েছে গোটা দেশ। এরই মধ্যে আবার Digital Currency সংক্রান্ত ঘোষণা আরো চিন্তায় ফেলেছে জনগণকে।
কবে থেকে দেশে চালু Digital Currency?
আজকের প্রতিবেদনে আমরা এই Digital Currency এর বিষয় নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব। Digital note এর ঘোষণা একদিকে নঞর্থক এবং আরেকদিকে সদর্থক – উভয় রকমেরই প্রতিক্রিয়া এনেছে জনগণের থেকে। একদল যেমন এর সুরক্ষার বিষয় নিয়ে সন্ধিহান, কোন দল মনে করছে এই ডিজিটাল নোটের হাত ধরেই ভারতীয় অর্থনীতি হয়তো বিশ্বের শীর্ষস্থানে থাকা আর ও নানা দেশের অর্থনীতির সঙ্গে চলতে পারবে। আর চলতি বছরেই বাজেট অধিবেশনে RBI Digital Currency এর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আর এবার থেকে ইচ্ছে মতো আর ডিজিটাল কারেন্সি এর লেনদেন করা যাবে না। রিজার্ভ ব্যাংক সমস্ত কিছুর মনিটরিং করবে।
Digital Currency কি?
ডিজিটাল কারেন্সি বা ডিজিটাল নোট হলো ভার্চুয়াল মুদ্রা। যা কেবলমাত্র ওয়েলেট বা একাউন্টে জমা থাকে। এবং মার্কেটের অবস্থা অনুযায়ী এর মূল্য নির্ধারণ হয়। BitCoin বা Cryptocurrency এর মত ভারতীয় প্রযুক্তিতেও ডিজিটাল কারেন্সি এর ব্যাবহার অফিসিয়ালি শুরু করার প্রক্রিয়া আরম্ভ হচ্ছে। তবে ক্যাশলেস আর ডিজিটাল কারেন্সির মূল পার্থক্য হলো, ক্যাশলেস এ আপনার টাকা ভারিতীয় মুদ্রায় থাকে এবং এটা ভারতীয় টাকাতেই মূল্য নির্ধারিত হয়। এবং এটা এক্সেঞ্জ করলে সেই মুল্যের টাকাই পাওয়া যায়। কিন্তু ডিজিটাল কারেন্সি মার্কেটের অবস্থা অনুযায়ী মূল্য নির্ধারিত হয়।
RBI Digital Currency এর সুবিধা?
- ভারতীয় লেনদেন এ রিজার্ভ ব্যাংকের নিরাপত্তা রয়েছে।
- দ্রুত লেনদেন এর জন্য ডিজিটাল নোট সবচেয়ে উপযোগী।
- আন্তর্জাতিক লেনদেন করা সহজ।
- সরকারি লেনদেন ও করা যায়।
- আন্তর্জাতিক লেনদেন বা টাকা পাঠানো ও বা গ্রহণ করায় খরচ কম লাগে।
- একাধিক ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা যায়।
- Online Transaction অনেকে সরগড় না হলেও এই পদ্ধতিতে তেমন দক্ষ না হলেও চলবে।
কোথায় কোথায় চালু হচ্ছে?
তবে জানিয়ে রাখা ভালো আমাদের দেশ ভারতবর্ষে, ইতিমধ্যেই Digital note চালু হয়েছে। আপাতত রিজার্ভ ব্যাংক পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই ডিজিটাল কারেন্সি মাধ্যমে লেনদেন শুরু করেছে। নির্দিষ্টভাবে কিছু ব্যাংকে বেছে নেওয়া হয়েছে ডিজিটাল নোটের পাইলট প্রজেক্টের অংশবিশেষ হিসেবে। আর রিজার্ভ ব্যান ও ভারত সরকার Bitcoin ও Cryptocurrency এর বদলে ভারতীয় ডিজিটাল মুদ্রা ব্যাবহারের উপর বেশি জোর দিচ্ছেন। আর তার জন্য এবার পেপল, অ একাধিক অনলাইন অয়ালেট এর ব্যাবহার নিয়ন্ত্রনে এনেছে।
১লা নভেম্বর ২০২২ থেকে ভারতে ডিজিটাল কারেন্সি প্রথম এদেশে চালু হয়। শুরুতে হোলসেল লেভেলে ট্রায়াল শুরু হলেও ডিসেম্বর মাসে রিটেল লেভেলেও এই Digital Currency এর ট্রায়াল শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে পাইলট প্রজেক্টের অংশ হয়েছিল সারাদেশের বড়ো চারটি শহর। আর এবার ধীরে ধীরে সারা দেশ জুড়ে এর ব্যাবহার ও প্রচার করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রালয় ও অর্থ মন্ত্রালয় এক যোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর সাইবার ফ্রড এর মাধ্যমে যাতে এই মুদ্রা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেই ব্যাপারেও সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
ডিজিটাল কারেন্সির সম্প্রসার
এই প্রজেক্টের প্রথম দিকের অংশ ছিল দেশের সবথেকে বড় ব্যাংক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা SBI. সাথে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক (ICICI Bank), ইয়েস ব্যাংক (Yes Bank), এবং আইডিএফসি ফার্স্ট (HDFC Bank). প্রথম দিকে মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও ভুবনেশ্বর শহরে প্রচলন শুরু হলেও পরবর্তীতে আমেদাবাদ, চন্ডিগড় ,গ্যাংটক ,গুয়াহাটি, হায়দ্রাবাদ, ইন্দোর , কোচি লখনৌ ,পাটনা, সিমলাতেও ছড়িয়েছে এই Digital Money প্রজেক্ট এর পরিধি।
আবার প্রথম পর্যায়ে উপরিউক্ত চারটি ব্যাংক দিয়ে এই প্রজেক্ট শুরু হলেও পরবর্তীতে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ইউনিয়ন ব্যাংক এইচডিএফসি (সম্পূর্ণ), কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংক ও অংশ হয়েছে এই প্রজেক্টের। আর বি আই আশা রাখে খুব দ্রুতই দেশের সব মানুষ প্রয়োজনমতো এই ডিজিটাল ব্যবস্থা ব্যবহারের সুবর্ণ সুযোগ পাবে। এই প্রজেক্ট এর নিরাপত্তা সুবিধার এবং অসুবিধা সমস্ত দিককেই ভালোভাবে যাচাই করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা বক্তব্য থেকে থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন। আর নিয়মিত আপডেট ও দৈনিক খবর পেতে কাজ বাংলা নিউজ পোর্টাল ফলো করুন। আর আপনার মতামত নিচে কমেন্ট করুন।