Business Opportunities – ঘরে বসে 5 টি সেরা ব্যবসার আইডিয়া। বর্তমানে কম খরচে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা।

আমূল বদলে গিয়েছে, চাকরি বা ব্যবসার পদ্ধতি (Business Opportunities). এখন আর দূরে গিয়ে সারাদিন পরিশ্রম করার পর রাত্রিবেলা বাড়ি ফিরে পরের দিন আবার সেই অফিসে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কাজের ক্ষেত্র এতটাই বদলে গিয়েছে যে, আপনি বাড়িতে বসেই কিম্বা অনলাইনে (Online Earning from Home) বহু কাজ করে মাসের শেষে একটা মোটা টাকা উপার্জন (Business Opportunities) করতে পারবেন। তার জন্য বাড়ির বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।

ঘরে বসে বিনা পুঁজিতে ব্যবসা

অনেকেই আছেন হয়তো ছোটখাটো চাকরি বা ব্যবসা করছেন, তার পাশাপাশি এক্সট্রা ইনকাম করতে চান। কারণ বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত আয়ের দরকার। একটু ভালোভাবে জীবন যাপন করতে চাইলে মাসের শেষে মোটা টাকা আয় করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ফলে তারাও বাড়িতে বসে অনলাইনে অবসর সময়ে এই কাজগুলি (Business Opportunities) করতে পারেন। আবার কেউ মনে করলে পুরো সময়ের জন্য অনলাইনে (Online Business Opportunities) এই কাজ শুরু করে দিতে পারেন।

Top 5 Unique Business Opportunities

তার ফলে মোটা টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এবার এরকমই কয়েকটি কাজের প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে জানানো হলো। যে কাজগুলি খুব সহজেই ইন্টারনেট সংযোগ আরেকটি স্মার্টফোন (Smartphone with Internet) হাতে থাকলেই ঘরে বসে নিয়মিত করে ফেলা যায়। মোটা টাকাও উপার্জন করা যায়। পর্যায়ক্রমে সেই তালিকাটি একবার দেখে নিন:

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া

  • Affiliate Marketing
  • Youtube Channel
  • Dance, Song, Drawing School
  • House Rent Business
  • Cyber Cafe

১. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

এটি এমন একটি কাজ আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে শুধুমাত্র ঘরে বসেই প্রচার করতে পারবেন। কাজটি মূলত হল অন্য কোনো কোম্পানি বা সংস্থার প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য প্রচার করা। তার সঙ্গে একটি প্রমোশন লিংক দিয়ে রাখবেন। যে সমস্ত ক্রেতারা আপনার ওই প্রমোশন লিংক থেকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রোডাক্ট কিনবেন, সেখান থেকে আপনি একটি নির্দিষ্ট হারে কমিশন পেয়ে যাবেন। এর জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে যুক্ত হতে হবে।

যে সমস্ত গ্রুপে বহু সংখ্যক ফলোয়ার রয়েছে বা প্রচুর পরিমাণে মানুষ যুক্ত রয়েছেন, সেই সমস্ত গ্রুপে যুক্ত হয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজটি শুরু করতে পারেন। টেলিগ্রাম গ্রুপ বা ফেসবুক গ্রুপে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। ধরুন, কোন টেলিগ্রাম গ্রুপের বা ফেসবুক গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষ, এখানে আপনি অন্য কোনো সংস্থার প্রোডাক্ট এর প্রোমোশন লিংক দিয়ে প্রচার করলে তার মধ্যে থেকে যদি ১ হাজার মানুষও সেই প্রোডাক্ট কেনেন, তাহলে আপনি অন্ততপক্ষে ৫০০ টাকা কমবেশি কমিশন (Business Opportunities) হিসেবে ধরলে ২৫ হাজার টাকা পেয়ে যাবেন।

২. Youtube Channel

বর্তমানে আর ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা নিয়ে নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই এই মুহূর্তে youtube দেখেন, সেখান থেকে তথ্য জানার চেষ্টা করেন। youtube চ্যানেল সম্বন্ধে বলতে গেলে প্রথমেই বলে রাখতে হবে যে বিষয়ের উপরে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেই বিষয়ের উপরেই নির্ভর করে কনটেন্ট তৈরি করুন। নিয়মিত ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করুন। তাতে আপনার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা এবং ভিউয়ার্স বাড়তে থাকবে।

Online Earning opportunities (অনলাইনে আয় করার উপায়)

আর আপনার ভিডিওতে ভিউজ বাড়লে ইউটিউব এর তরফে আপনি সহজে মনিটাইজেশন করতে পারবেন। তারপরেই মাসের শেষে মোটা টাকা আয় করতে পারবেন। এই মুহূর্তে এরকম বহু ইউটিউবার রয়েছে যারা প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করেন। আর সম্প্রতি youtube এর বহু নতুন নিয়ম হয়েছে। সেখানে খুব সহজেই কনটেন্ট ক্রিয়েট করে মনিটাইজেশন করে নিতে পারবেন আপনার চ্যানেলটি। তবে হ্যাঁ, বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেলেও প্রচুর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নিয়মিত কনটেন্ট দিতে হবে। পাশাপাশি ছবি, অডিও, ব্যাকগ্রাউন্ড, সমস্ত দিকে নজর দিতে হবে।

৩. নাচ গান আকার স্কুল

প্রায় সমস্ত অভিভাবক তার সন্তানকে পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ গান অঙ্কনের মতো একটি এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাকটিভিটি দেওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। প্রত্যেকেই কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে শিখতে চায়। সেই জায়গায় আপনার মধ্যে যদি এই তিনটে বিষয়ের ওপরে বা কোনো একটি বিষয়ের উপরে দক্ষতা এবং যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে বাড়িতে বসেই এরকম একটি স্কুল তৈরি করে দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বাড়িতে একটা ফাঁকা একটু বড় ধরনের ঘর থাকলে সেখানে নাচ গান বা আঁকার স্কুল তৈরি করতে পারেন। আর খুব সহজেই আপনি আপনার স্থানীয় এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানাতে পারলে বা একটু প্রচার করতে পারলে আপনার স্কুলের ব্যবসাও বাড়াতে পারবেন।

৪. ঘর ভাড়ার ব্যবসা

এটায় অনলাইনের কোনো ব্যাপার (Online Business Opportunities) নেই। তবে কিছুটা হলেও আবার অনলাইন এর ছোঁয়া রয়েছে। আপনার বাড়িতে যদি জায়গা থাকে, আপনি ঘর তৈরি করে ভাড়া দিতে পারেন। আবার যদি এক্সট্রা ঘর থেকে থাকে সেই ফাঁকা ঘর ভাড়া দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন। এক্ষেত্রে যেমন কাছাকাছি মানুষজনকে প্রচার করে বলতে পারেন। ঠিক তেমনি অনলাইন সিস্টেমে গিয়ে আপনার ঘর ভাড়া দেওয়ার জন্য বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। সেই বিজ্ঞাপন দেখে যারা ভাড়া নিতে চান তারা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘর ভাড়া নেবেন। এখান থেকে খুব সহজে একটা ভালো টাকা আয় করা যায়।

৫. সাইবার ক্যাফে

বাড়িতে যদি একটু জায়গা থাকে, বেশি বড় জায়গার দরকার নেই, ইন্টারনেট কানেকশনসহ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ল্যামিনেশন করার যন্ত্র এইরকম দু’চারটে জিনিস নিয়ে আপনি একটি ছোট্ট সাইবার ক্যাফে শুরু করে দিতে পারেন। যথেষ্ট ভালো আয় করা যায়। এখন যে কোনো কাজেই সাইবার ক্যাফেতে যাওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। যেহেতু সমস্ত কাজই প্রায় অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গিয়েছে, তাই সাইবার ক্যাফে থেকে সমস্ত পরিষেবা নেওয়া যায়।

ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)

চাকরির ফরম ফিলাপ থেকে শুরু করে ট্রেন, প্লেন এবং দূরবর্তী বাসের টিকিট কাটা, টুরিস্ট স্পটের হোটেল ভাড়া, ছবি তোলা, ছবির প্রিন্ট বের করা, ল‍্যামিনেশন করা, ইলেকট্রিকের বিল, অনলাইনে মার্কেটিং, বিভিন্ন ধরনের বিল পেমেন্ট সহ প্রচুর কাজ সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে করা সম্ভব। আর এই কাজ করতে গেলেই ভালো টাকা দাবী করা হয় সাইবার ক্যাফে থেকে। বর্তমানে তো প্যান- আধার লিঙ্ক নিয়ে সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী মানুষ যখন সাইবার ক্যাফেতে ছুটছিলেন তখন তো বহু সাইবার ক্যাফেতে এক একটি লিঙ্ক করতে গিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। এরকম অভিযোগও শোনা গিয়েছে।

সেই জায়গায় আপনি যদি সাইবার ক্যাফেতে নিয়ম অনুযায়ী খুব কম রেটে পরিষেবা দিতে পারেন, তাহলে প্রচুর কাস্টমার পাবেন। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সরকারি চাকরির ফরম ফিলাপ করতে গেলে 50 টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। ইলেকট্রিক বিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিল পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে ২০ থেকে ৩০ টাকা নেওয়া হয়। ফলে সহজেই বুঝতে পারছেন, দিনে যদি ১০০ কাস্টমার আপনার দোকানে এসে এই ধরনের কাজ করেন, তাহলে যদি গড় আপনি হিসাব করেন দেখা যাবে, দিনে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা সহজেই উপার্জন করতে পারছেন।

এর মধ্যে বাড়িভাড়া ও সাইবার ক্যাফের ব্যবসা (Business Opportunities) অনেকটাই খরচ সাপেক্ষ। উপরোক্ত এই ব্যবসা ছাড়াও ঘরে বসে আরও যে সমস্ত ব্যবসা (Business Opportunities) একেবারে বিনা ইনভেস্টমেন্টে করা যায় সেগুলো হলোঃ

কম পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া (New Business Ideas)
  • ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ
  • ফেসবুকে কাপড়ের ব্যবসা
  • ফেসবুকে প্রডাক্ট সেল
  • ব্লাউজ ও মেয়েদের ড্রেস ফিটিং এর ব্যবসা
  • আয়রন বা কাপড় ইস্ত্রি এর ব্যবসা
  • ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর ব্যবসা
  • মেকাপ ও পার্লারের ব্যবসা।

আজকাল ছেলে মেয়েরা অর্ধেক জীবন সরকারি চাকরি খোঁজার পেছনেই ব্যয় করে দেয়। কিন্তু বড় একটা সংখ্যার ছেলে মেয়েরা একটা সময় হতাশ হয়। কিন্তু যদি প্রথম থেকেই যেকোনো পেশা পছন্দ করে কাজ শুরু করতো তবে হয়তো কম বয়সেই নিজের পায়ে অনেকেই দাড়াতে পারতো। অনেকেই অফিশিয়াল কাজ ছাড়া অন্য কাজকে (Business Opportunities) একটু নিচু চোখে দেখেন। আর অবশেষে দেখা যায় বয়স চলে যায়, আর কাজের উদ্যম থাকেনা। তাই কোনও কাজ কে ছোট না মনে করে যেকোনো পেশায় যুক্ত হয়ে যান। আপনার দক্ষতা থাকলেই সেখান থেকেই আপনি উপরে উঠতে পারবেন। প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে সকলকে শেয়ার করবেন। আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কি?

বর্তমানে বিনা পুঁজিতে কম সময়ের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা (Business Opportunities) হলো অনলাইন ব্যবসা। স্যোশাল মিডিয়াতে বিক্রয়, অনলাইন শপিং অ্যাপ এ বিক্রয় ও বিভিন্ন ক্রেতার সঙ্গে বিক্রেতার যোগাযোগ করিয়ে দিয়ে মাসে লাখ টাকা আয় করা যায়, কোনও রকম টেনশন ছাড়াই।

কম খরচে কি ব্যবসা করা যায়?

যদি এই ব্যবসা টি আপনি স্থায়ী রূপে করতে চান, তবে রেস্টুরেন্ট বা যেকোনো খাবারের ব্যবসা খুবই কম খরচে শুরু করা যায়। এছাড়া অনলাইন ব্যবসা ও হোম ডেলিভারি তো রয়েছেই।

কোন ব্যবসায় বেশি লাভ হয়?

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসায় (Online Business Opportunities) সবচেয়ে লাভের হার বেশি।

Leave a Comment